২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু করে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলেছে।
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের সুবিধা:
- দীর্ঘ মেয়াদ: ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের তুলনায় ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট দ্বিগুণ সময় স্থায়ী হয়। এর মানে হল আপনাকে বারবার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে না।
- দ্রুত প্রসেসিং: ই-পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনে করা যায় এবং প্রসেসিং সময় অনেক কম।
- আধুনিক প্রযুক্তি: ই-পাসপোর্টে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা জালিয়াতি রোধে সাহায্য করে।
- আরও সুবিধা: ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে কিছু দেশে ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা পাওয়া যায়।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকতে হবে। আবেদন অনলাইনে https://epassport.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে করা যায়।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি:
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি ৫৭৫০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
- জন্ম সনদ
- সাম্প্রতিক ছবি (নীল ব্যাকগ্রাউন্ড সহ)
- পাসপোর্ট ফি রসিদ
অতিরিক্ত কাগজপত্র (প্রয়োজন অনুসারে):
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- পেশাগত সনদপত্র (যদি থাকে)
- বিবাহ সনদপত্র (যদি বিবাহিত হন)
- পিতামাতার এনআইডি (১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের জন্য)
- গার্জিয়ানের এনআইডি ও সম্মতিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ (অতি জরুরী পাসপোর্টের জন্য)
মনে রাখবেন:
- সকল কাগজপত্রের ফটোকপি সাথে রাখতে হবে।
- কাগজপত্রের আকার A4 হতে হবে।
- সকল কাগজপত্র পরিষ্কার ও স্পষ্ট হতে হবে।
- ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
উপসংহার:
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। এটি দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলেছে।
অতিরিক্ত তথ্য:
- ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট দেখুন।