বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল নাগরিকের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। এই স্কিমটি ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত, যারা নিয়মিত চাঁদা প্রদান করে।
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
সর্বজনীন পেনশন সুবিধা:
- নিরাপদ ভবিষ্যৎ: সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীরা অবসর গ্রহণের পর নিয়মিত আয়ের উৎস পাবেন, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
- আর্থিক স্বাধীনতা: এই স্কিম ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাধীন হতে সাহায্য করবে।
- সামাজিক নিরাপত্তা জাল: সর্বজনীন পেনশন স্কিম দেশের সামাজিক নিরাপত্তা জাল শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য।
- দারিদ্র্য বিমোচন: নিয়মিত আয়ের মাধ্যমে, এই স্কিম দারিদ্র্য কমাতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে কিভাবে অংশগ্রহণ করবেন:
- নিবন্ধন: আগ্রহী ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনলাইনে বা যেকোনো সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারেন।
- চাঁদা: নিবন্ধনকারীদের নিয়মিত চাঁদা প্রদান করতে হবে, যা তাদের বয়স এবং আয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হবে। চাঁদা প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যাংকিং, মোবাইল পেমেন্ট এবং এজেন্ট বুথ।
- পেনশন: ৬০ বছর বয়সে পৌঁছালে, স্কিমের অংশগ্রহণকারীরা নিয়মিত পেনশন পেতে শুরু করবেন। পেনশনের পরিমাণ চাঁদার পরিমাণ এবং অংশগ্রহণের সময়কালের উপর নির্ভর করবে।
উপসংহার:
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা তাদের অবসর পরবর্তী জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। সরকার সকলকে এই স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করছে যাতে তারা একটি আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
আরও তথ্যের জন্য:
- জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট: https://www.upension.gov.bd/