বর্তমানে বাংলাদেশে ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিকাশ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে টাকা পাঠানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিল পরিশোধ, অনলাইন কেনাকাটা, এমনকি বেতনও বিকাশের মাধ্যমে করা সম্ভব। ব্যবসায়ীদের জন্য বিকাশ চালু করেছে “বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট”। এটি ব্যবসায়ীদের গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজেই ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়।
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের সুবিধা
- দ্রুত ও সহজ লেনদেন: বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্রুত ও সহজেই পেমেন্ট আদায় করতে পারেন।
- ব্যয় হ্রাস: নগদ লেনদেনের তুলনায় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেনের খরচ অনেক কম হয়।
- গ্রাহকদের সংখ্যা বৃদ্ধি: ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ থাকায় বিকাশ মার্চেন্ট ব্যবহারকারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
- বিক্রয় বৃদ্ধি: গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ডিজিটাল পেমেন্ট অপশন প্রদানের ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বৃদ্ধি পেতে পারে।
- লেনদেনের ইতিহাস: বিকাশ মার্চেন্ট ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের লেনদেনের ইতিহাস পর্যালোচনা করতে পারেন।
- 24/7 গ্রাহক সহায়তা: বিকাশ মার্চেন্ট ব্যবহারকারীদের জন্য 24/7 গ্রাহক সহায়তা পরিষেবা চালু রয়েছে।
- উন্নত নিরাপত্তা: বিকাশ উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে লেনদেনগুলোকে সুরক্ষিত রাখে।
- বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে পেমেন্ট: গ্রাহকরা সহজেই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন।
- বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন: বিকাশ মার্চেন্ট বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন যেমন, QR কোড, পে-লিঙ্ক, ওয়েবসাইট ইন্টেগ্রেশন ইত্যাদি প্রদান করে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের অসুবিধা
- চার্জ: প্রতিটি লেনদেনের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে নেয়।
- ইন্টারনেট নির্ভরতা: বিকাশ মার্চেন্ট ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়।
- প্রযুক্তিগত জটিলতা: কিছু ব্যবসায়ীর জন্য বিকাশ মার্চেন্ট ব্যবহার ও পরিচালনা করা জটিল মনে হতে পারে।
- সুরক্ষা ঝুঁকি: অনলাইন লেনদেনের সাথে সর্বদা নির্দিষ্ট সুরক্ষা ঝুঁকি থাকে।
- সীমিত লেনদেন পরিমাণ: বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে সর্বোচ্চ 30,000 টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়।
উপসংহার
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণের একটি সুবিধাজনক মাধ্যম। তবে, ব্যবহারের পূর্বে এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
বিঃদ্রঃ: উপরে বর্ণিত তথ্য পরিবর্তন হতে পারে। তাই পরবর্তী তথ্যের আপডেটের জন্য বিকাশ ওয়েবসাইট দেখুন: https://www.bkash.com/ ।