১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রবাসী সরকার গঠন ও যুদ্ধ সংগঠনে বিভিন্ন দেশ, সংগঠন এবং ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই ঐতিহাসিক প্রয়াসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
প্রবাসী সরকার গঠন ও যুদ্ধ সংগঠনে বিভিন্ন দেশ, সংগঠন এবং ব্যক্তি:
১. ভারত সরকার:
- সামরিক সহায়তা: ভারত সরকার মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে সরাসরি সামরিক সহায়তা প্রদান করে।
- রাজনৈতিক সমর্থন: ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক মंचে জোরালো কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে।
- শরণার্থীদের আশ্রয়: মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে আসা লাখ লাখ শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দেয় এবং তাদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।
২. সোভিয়েত ইউনিয়ন:
- রাজনৈতিক সমর্থন: সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন প্রদান করে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদান করে।
- সামরিক সরঞ্জাম: সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে, যা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক ভূমिका পালন করে।
৩. আন্তর্জাতিক সংগঠন:
- জাতিসংঘ: জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, যেমন ইউনিসেফ, UNHCR, এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করে।
৪. প্রবাসী বাঙালি:
- প্রবাসী সরকার: প্রবাসী বাঙালিরা প্রবাসী সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং বিশ্বব্যাপী সমর্থন जुटाने গুরুত্বপূর্ণ ভূমिका পালন করে।
- অর্থ ও সামগ্রী সংগ্রহ: প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন দেশে অর্থ ও সামগ্রী সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ जुटाते।
- জনমত গঠন: প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন দেশে জনমত গঠন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আদায় করে।
৫. বিদেশি সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী:
- সত্য প্রকাশ: বিদেশি সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা বিশ্বের কাছে তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন जुटाने গুরুত্বপূর্ণ ভূমिका পালন করে।
এই সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না। বিভিন্ন দেশ, সংগঠন এবং ব্যক্তির এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে আছে।