জিপিএফ (গ্র্যাচুইটি প্রভিডেন্ট ফান্ড) হল বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ী প্রকল্প।
এই প্রকল্পের অধীনে, কর্মচারীরা তাদের মাসিক বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ জমা করেন এবং চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তাদের জমা করা অর্থ সুদসহ ফেরত পান।
কর্মরত অবস্থায়, জরুরী প্রয়োজনে কর্মচারীরা তাদের জমা করা অর্থের একটি অংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করতে পারেন।
এই আর্টিকেলে, আমরা জিপিএফ লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
জিপিএফ লোন কী?
জিপিএফ লোন হল জিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা রাখা অর্থের বিরুদ্ধে প্রদত্ত একটি ঋণ। এই ঋণ কর্মচারীদের বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে সহায়তা করার জন্য প্রদান করা হয়।
জিপিএফ লোনের ধরণ
- আবাসন ঋণ: বাড়ি কেনার জন্য বা বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ।
- শিক্ষা ঋণ: সন্তানদের শিক্ষার জন্য ঋণ।
- চিকিৎসা ঋণ: নিজের বা পরিবারের সদস্যের চিকিৎসার জন্য ঋণ।
- অন্যান্য ঋণ: ব্যক্তিগত জরুরী প্রয়োজনে ঋণ।
জিপিএফ লোনের যোগ্যতা
- কর্মরত সরকারি কর্মচারী হতে হবে।
- কমপক্ষে 5 বছর জিপিএফ অ্যাকাউন্টে অবদান রাখতে হবে।
- লোনের পরিমাণ কর্মচারীর মাসিক বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
- লোনের জন্য নির্ধারিত নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।
জিপিএফ লোনের প্রক্রিয়া
- জিপিএফ লোনের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে আবেদনপত্র জমা দিন।
- জিপিএফ কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই করবে এবং অনুমোদন করলে, আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- জিপিএফ লোনের সুদের হার বাজারের হার অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।
- জিপিএফ লোন সময়মতো পরিশোধ করতে হবে।
- লোন পরিশোধে ব্যর্থ হলে, জিপিএফ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে।
জিপিএফ লোনের জন্য যোগাযোগের তথ্য:
- ওয়েবসাইট: https://www.cafopfm.gov.bd/
- হটলাইন: 16222
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।
আরো দেখুন: জিপিএফ চুড়ান্ত উত্তোলনের নিয়ম