বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য “গর্ভবতী ভাতা” প্রদান করে। এই ভাতা প্রতি মাসে 3,000 টাকা করে প্রদান করা হয় এবং এটি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
কারা গর্ভবতী ভাতা পেতে পারবেন?
- যারা বাংলাদেশের নাগরিক
- যাদের পরিবারের মাসিক আয় 20,000 টাকা বা তার কম
- যারা গর্ভবতী এবং প্রসবের 6 মাস পর্যন্ত স্তন্যদান করেন
গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্ডের ফটোকপি
- গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত গর্ভবতী সনদপত্রের ফটোকপি
- স্বামীর NID কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)
- পরিবারের আয়ের সনদপত্র (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ইত্যাদি)
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য (যেখানে ভাতা প্রদান করা হবে)
গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম:
- প্রথমে, গর্ভবতী ভাতা ওয়েবসাইট http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration এ যান। (ওয়েবসাইটটি সক্রিয় না থাকলে পরবর্তীতে আবার চেষ্টা করুন)
- “রেজিস্ট্রেশন” ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
- আপনার আবেদনপত্র জমা দিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
- আপনার আবেদন যাচাই করা হবে এবং যদি যোগ্য হন তবে আপনাকে ভাতা দেওয়া হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে এটি দেখুন: দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্ত্বকাল ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন ফরম (নতুন)
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- অনলাইনে আবেদন করার জন্য, আপনার একটি কার্যকর ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
- আপনার সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন। ভুল তথ্য প্রদানের ফলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
- যদি আপনার আবেদন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনি ওয়েবসাইটে দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
উপসংহার:
গর্ভবতী ভাতা গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা। অনলাইনে আবেদন করা সহজ এবং সুবিধাজনক। উপরে বর্ণিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করে আপনি সহজেই এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন।