বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% কোটা সংরক্ষিত আছে। এই কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশের প্রতি ত্যাগ ও কর্মোৎসর্গের স্বীকৃতি হিসেবে।
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
কোন ধরণের মুক্তিযোদ্ধা এই কোটার সুযোগ পাবেন?
- যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
- যারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা নিহত হয়েছিলেন তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনি।
- যারা মুক্তিযুদ্ধে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন এবং যুদ্ধের কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন।
- যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছিলেন এবং যুদ্ধের কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
কোন ধরণের চাকরিতে এই কোটা প্রযোজ্য?
- সকল সরকারি চাকরি
- আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান
- জাতীয়ায়িত ব্যাংক
- বিশ্ববিদ্যালয়
- স্কুল ও কলেজ
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়োগের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া:
- প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকার কর্মকমিশন (বিপিএসসি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়োগের জন্য আবেদন আমন্ত্রণ জানায়।
- আবেদনকারীদের নির্ধারিত যোগ্যতা থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- বিপিএসসি যোগ্য প্রার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করে এবং তাদের নিয়োগ দেয়।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে বিতর্ক:
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সমালোচকরা যুক্তি দেন যে এই ব্যবস্থা অযোগ্যদের চাকরি পেতে সাহায্য করে এবং মেধাবীদের সুযোগ কেড়ে নেয়।
অন্যদিকে, সমর্থকরা যুক্তি দেন যে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশের প্রতি ত্যাগ ও কর্মোৎসর্গের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া উচিত।
সর্বশেষে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা একটি জটিল বিষয় যার অনেক দিক রয়েছে। এই কোটা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকল দিক বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস:
- বাংলাদেশ সরকার কর্মকমিশন
- মুক্তিযোদ্ধা ও গণযুদ্ধ সংস্থান মন্ত্রণালয় https://molwa.gov.bd/
Nati rao ki quota Subidha pave?