জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হলো পুলিশের কাছে কোন ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করার একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত বিবৃতি। যেকোনো নাগরিক যদি কোন অপরাধের শিকার হন, অথবা যদি তাদের মনে হয় যে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, অথবা যদি তারা কোন অবৈধ কার্যকলাপের সাক্ষী হয়, তবে তারা জিডি করতে পারেন।
জিডি করার মাধ্যমে
- পুলিশের কাছে ঘটনার একটি আনুষ্ঠানিক রেকর্ড তৈরি হয়।
- ভবিষ্যতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রমাণ হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিডি করার দুটি উপায় রয়েছে:
এই পোস্টে আপনি যা যা জানতে পারবেন:
১) অফলাইনে থানায় জিডি করার নিয়ম:
কোথায় জিডি করবেন:
- আপনার এলাকার থানায়।
- ঘটনা যদি কোন নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটে থাকে, সেই এলাকার থানায়।
কখন জিডি করবেন:
- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
- ঘটনার 48 ঘণ্টার মধ্যে জিডি করা উচিত।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) / পাসপোর্ট / ভোটার আইডি কার্ড
- ঘটনার স্থানের ছবি (যদি থাকে)
- প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র (যদি থাকে)
জিডি করার পদ্ধতি:
- থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারের সাথে দেখা করুন।
- আপনার ঘটনা সম্পর্কে তাকে জানান।
- ডিউটি অফিসার আপনাকে একটি জিডি ফর্ম দেবেন।
- জিডি ফর্ম সাবধানে পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
- জিডি সাবমিট করুন।
জিডি সাবমিট করার পর:
- আপনাকে একটি জিডি নম্বর দেওয়া হবে।
- আপনি জিডির একটি কপি পাবেন।
- প্রয়োজনে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অন্যান্য তথ্য:
- জিডি করা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
- থানা খোলা থাকার যেকোনো সময় আপনি জিডি করতে পারেন।
- জিডি করার জন্য আপনার অবশ্যই একজন বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
মনে রাখবেন:
- মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিডি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- জরুরী পরিস্থিতিতে, 999 নম্বরে পুলিশে ফোন করুন।
আরও তথ্যের জন্য:
- আপনার এলাকার থানা
- বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট: https://www.police.gov.bd/
অতিরিক্ত তথ্য:
- যদি আপনি শারীরিকভাবে থানায় যেতে না পারেন, তাহলে আপনি একজন প্রতিনিধিকে জিডি করার জন্য পাঠাতে পারেন।
২) অনলাইনে জিডি করার নিয়ম:
বাংলাদেশে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যায়।
কোথায় জিডি করবেন:
- অনলাইন জিডি ওয়েবসাইট: https://gd.police.gov.bd/
- অনলাইন জিডি অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.opus_bd.lostandfound&hl=en
কী কী জিডি করা যাবে:
- হারানো জিনিসপত্র
- প্রাপ্ত জিনিসপত্র
- ঝামেলা
- হুমকি
- সাইবার অপরাধ
- অন্যান্য (যেমন: পরিবেশ দূষণ, ভবন নির্মাণবিধি লঙ্ঘন)
জিডি করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) / পাসপোর্ট / ভোটার আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি
- ঘটনার স্থানের ছবি (যদি থাকে)
- প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র (যদি থাকে)
জিডি করার পদ্ধতি:
- উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- লগইন করুন এবং “জিডি করুন” অপশনে ক্লিক করুন।
- নির্দেশাবলী অনুসরণ করে আপনার জিডি পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
- জিডি জমা দিন।
জিডি জমা দেওয়ার পর:
- আপনাকে একটি জিডি নম্বর দেওয়া হবে।
- আপনি SMS এবং ইমেলের মাধ্যমে আপনার জিডির অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারবেন।
- প্রয়োজনে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অন্যান্য তথ্য:
- জিডি করা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
- যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে জিডি করা যায়।
- জিডি করার জন্য আপনার অবশ্যই একজন বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
আরও তথ্যের জন্য:
- https://gd.police.gov.bd/
- https://play.google.com/store/apps/details?id=com.opus_bd.lostandfound&hl=en
মনে রাখবেন:
- মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিডি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- জরুরী পরিস্থিতিতে, 999 নম্বরে পুলিশে ফোন করুন।
জিডি করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:
- জিডিতে ঘটনার সঠিক এবং স্পষ্ট বিবরণ লিখতে হবে।
- ঘটনার স্থান, সময়, এবং তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
- যদি কোন সাক্ষী থাকে, তাদের নাম, ঠিকানা, এবং যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
- যদি ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোন প্রমাণ থাকে, তবে সেগুলো জমা দিতে হবে।
- জিডি করার পর, নিয়মিত থানায় খোঁজখবর নিতে হবে।
জিডি করার জন্য কোন খরচ হয় না।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।