একরার নামা দলিল কি?

একরার নামা হলো এক ধরণের চুক্তিপত্র যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে কোন ঋণ, দায়, অথবা দায়িত্ব স্বীকার করে। একরার নামার মাধ্যমে ঋণদাতা ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণগ্রহীতাকে আইনিভাবে বাধ্য করতে পারে।

একরার নামার প্রধান বৈশিষ্ট্য

  • লিখিত আকারে: একরার নামা অবশ্যই লিখিত আকারে তৈরি করতে হবে।
  • দু’পক্ষের সম্মতি: একরার নামায় ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার সম্মতি থাকতে হবে।
  • ঋণের পরিমাণ: একরার নামায় ঋণের স্পষ্ট পরিমাণ উল্লেখ থাকতে হবে।
  • শোধের হার: একরার নামায় ঋণ পরিশোধের হার ও সময়সীমা উল্লেখ থাকতে হবে।
  • সুদের হার: যদি ঋণের উপর সুদ ধার্য করা হয়, তাহলে সুদের হার একরার নামায় উল্লেখ থাকতে হবে।
  • গ্যারান্টি: একরার নামায় ঋণ পরিশোধের জন্য গ্যারান্টি থাকতে পারে।
  • স্বাক্ষর: একরার নামায় ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • সাক্ষীর স্বাক্ষর: একরার নামায় এক বা একাধিক সাক্ষীর স্বাক্ষর থাকতে পারে।

একরার নামার ব্যবহার:

  • ব্যক্তিগত ঋণ: একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য একরার নামা ব্যবহার করতে পারে।
  • ব্যবসায়িক ঋণ: একটি প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য একরার নামা ব্যবহার করতে পারে।
  • জমি কেনার জন্য ঋণ: জমি কেনার জন্য ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য একরার নামা ব্যবহার করা হয়।
  • গাড়ি কেনার জন্য ঋণ: গাড়ি কেনার জন্য ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য একরার নামা ব্যবহার করা হয়।

একরার নামা তৈরির সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে:

  • একরার নামা তৈরির আগে ঋণের শর্তাবলী স্পষ্টভাবে চূড়ান্ত করে নিতে হবে।
  • একরার নামায় সকল তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • একরার নামা রেজিস্ট্রি করা উচিত।
  • একরার নামার একটি প্রতিলিপি নিরাপদে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
  • আইনি বিষয় জটিল হতে পারে। তাই, একরার নামা তৈরির আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এছাড়াও, নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট থেকে একরার নামা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারেন:

Leave a Comment